বাংলা সাধু ও চলিত ভাষার পাশাপাশি কথ্য ভাষার বিশ্বব্যাপি জনশ্রুতি রয়েছে ।
যা দিয়ে অনেক নাটক সিনামা তৈরি হয়েছে ।
নোয়াখালীর কিছু জনপ্রিয় শব্দ - হানি , আয়ই , তুই , হাত্তান্ন , কত্তান্ন , কিত্তি হারবি , হাজিল ,
নোয়াখালী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি জেলা। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। নোয়াখালীর ভাষা ও সংস্কৃতিও অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
নোয়াখালী ভাষা
নোয়াখালী ভাষা বাংলার একটি উপভাষা। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরার দক্ষিণ অংশে প্রচলিত। নোয়াখালী ভাষার নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন:
ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য: নোয়াখালী ভাষায় কিছু ধ্বনি অন্যান্য বাংলা উপভাষার থেকে ভিন্ন। যেমন, "ক" ধ্বনিকে "গ" হিসাবে উচ্চারণ করা হয়, "ত" ধ্বনিকে "ট" হিসাবে উচ্চারণ করা হয়, এবং "চ" ধ্বনিকে "ছ" হিসাবে উচ্চারণ করা হয়।
ব্যাকরণগত বৈশিষ্ট্য: নোয়াখালী ভাষার ব্যাকরণ অন্যান্য বাংলা উপভাষার থেকে কিছুটা ভিন্ন। যেমন, নোয়াখালী ভাষায় "তোমার"-এর পরিবর্তে "তোর" এবং "তাদের"-এর পরিবর্তে "তেরা" বলা হয়।
ভাষাগত বৈশিষ্ট্য: নোয়াখালী ভাষায় কিছু শব্দ অন্যান্য বাংলা উপভাষার থেকে ভিন্ন। যেমন, "মাছ"-এর পরিবর্তে "মাছ", "মাঠ"-এর পরিবর্তে "মাঠ", এবং "গরু"-এর পরিবর্তে "গরু" বলা হয়।
নোয়াখালী সংস্কৃতি
নোয়াখালী সংস্কৃতিও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। নোয়াখালীর লোকসাহিত্য, লোকসংস্কৃতি, এবং লোকজ সংস্কৃতি অত্যন্ত বিখ্যাত। নোয়াখালীর লোকসাহিত্যের মধ্যে রয়েছে:
লোকগান: নোয়াখালীর লোকগান অত্যন্ত সুন্দর এবং প্রাণবন্ত। নোয়াখালীর লোকগানের মধ্যে রয়েছে ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, বিচ্ছেদ গান, যাত্রাগান, জারিগান, সারিগান, এবং ঝুমুরগান।
লোককথা: নোয়াখালীর লোককথাও অত্যন্ত বিখ্যাত। নোয়াখালীর লোককথার মধ্যে রয়েছে রাজা-রাণীর গল্প, লঙ্কাযাত্রার গল্প, এবং পৌরাণিক গল্প।
লোকপ্রবাদ: নোয়াখালীর লোকপ্রবাদও অত্যন্ত বিখ্যাত। নোয়াখালীর লোকপ্রবাদের মধ্যে রয়েছে "আঁতেল পোলা লঙ্কা কামড়ায়", "এক মাছ তেলের দর", এবং "মরার পরে আর ময়না পাওয়া যায় না"।
নোয়াখালীর লোকসংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে:
লোকনাচ: নোয়াখালীর লোকনাচ অত্যন্ত সুন্দর এবং বর্ণিল। নোয়াখালীর লোকনাচের মধ্যে রয়েছে ভাটিয়ালী নাচ, ভাওয়াইয়া নাচ, যাত্রাপালা, এবং জারিগান।
লোকখেলা: নোয়াখালীর লোকখেলাও অত্যন্ত বিখ্যাত। নোয়াখালীর লোকখেলার মধ্যে রয়েছে গোল্লাছুট, লাঠি খেলা, লুডু, এবং দাবা।
লোকজ সংস্কৃতি: নোয়াখালীর লোকজ সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক, এবং সামাজিক আচার-প্রথা। নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে রয়েছে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ, এবং খিচুড়ি। নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মধ্যে রয়েছে লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, এবং শাড়ি। নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী সামাজিক আচার-প্রথার মধ্যে রয়েছে বিয়ে, শ্রাদ্ধ, এবং ঈদ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস