বরাবর,
চেয়ারম্যান
৯নং নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ
সেনবাগ, নোয়াখালী।
বিষয়ঃ- অভিযোগ মিমাংসা প্রসঙ্গে।
বাদীঃ- আমীর হোসাইন , পিতা – মৃত হাজী আবদুল আজিজ ,
প্রযত্নে- উম্মেদ আলী হাজী বাড়ী , গ্রাম- গোপালপুর , সেনবাগ, নোয়াখালী।
বিবাদীঃ- ১। আবদুল ছাত্তার , পিতা - মৃত শেখ আহামদ
২। ফিরোজা বেগম , স্বামী- আবদুল ছাত্তার
৩। জাহেদ , পিতা - আবদুল ছাত্তার
সর্ব সাং- নলদিয়া, সেনবাগ, নোয়াখালী।
স্বাক্ষীঃ- ১। আঃ হক মাষ্টার , ২। জয়নাল কেরানী ,
৩। লেদু , ৪। জাকের ,
৫। নাছের , সর্ব সাং- কাজিরখিল , সেনবাগ, নোয়াখালী।
ঘটনার দিন ও সময়ঃ ০২/১০/২০১৫ইং রোজ – শুক্রবার , আনুমান- ১১.০০ঘটিকার সময়।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি বাদী একজন সহজ সরল ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল লোক হই । বিবাদীগণ আমার প্রতিবেশী, আমরা একেই বাড়ীতে বসবাস করি । বিবাদী আইন অমান্যকারী পরধন লোভী, হিংসুটে , বদ মেজাজী লোক বটে। দীর্ঘ প্রায় ২০বছর পূর্বে বিজ্ঞ আমিন দ্বারা আমাদের বাড়ী সকল সম্পত্তি পরিমাপ কারাই, সকলের প্রতক্ষ্য উপস্থিতিতে নিজ মালিকীয় সম্পদের পরিমাপ করিলে বিবাদীদের সম্পদের সঠিক হিসাব তাহারা বুঝিয়া নেয়। যাহাতে সীমানা পিলার স্থাপনে কাহারো কোন প্রকার আপত্তি ছিলনা ও করেনাই। উক্ত সীমানা পিলার ঘটনার কিছুদিন আগে বিবাদীগন তুলে পেলায়, কিন্তু এলাকার লোকজন ও শালীশ দার এবং গন্য-মান্য ব্যক্তি বর্গের পরামর্শ ক্রমে আমি আবার সীমানা পীলার আগের নির্ধারিত স্থানে স্থাপন করি।
ঘটনার দিন ও সময়ঃ আমি বাড়ীতে ছিলাম না, বাড়ীতে আসিয়া জানিতে পারিলাম বিবাদীগন হটাৎ করে এসে ২০বছর পূর্বে বিজ্ঞ আমিন দ্বারা স্থাপন কৃত সীমানা পিলার তুলে একস্থান থেকে অন্য স্থানে অনুমান ৫হাত আমার সীমানায় পুতে রাখে । মান-ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা কোন প্রতিবাদ করে নাই। কারন বিবাদীগনের অন্যায় আচরন ইতিপূর্বে সকলেই আবগত আছে। অতঃপর আমি ১নং বিবাদীকে জিজ্ঞাসান্তে বলে যে, সে আমার নিকট সম্পত্তি প্রাপ্য আছে । কিন্তু সমাজের গন্য-মান্য ব্যক্তিদের নির্দেশক্রমে শালিশী মীমাংশায় বসতে রাজী নহে। তারপরেও শালিশীদার গণ সিধান্ত করে যে, যে বা যারা জোর জবর দখল করিয়াছে তারা আমিনের সম্পূন্ন খরছ বহন করিতে বাধ্য থাকিবে। উক্ত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করিয়া আমার মালিকীয় ও দখলী জয়ায়গার সীমানা পিলার উপড়াইয়া পেলিয়া আমার ফলন্ত বৃক্ষের ক্ষতি সাধন করে। যাহা স্বাক্ষীরা অবগত আছেন। উল্লেখ্য যে, সামাজিক বিচারের অপেক্ষায় থাকায় আপনার আদালতে অভিযোগ করিতে কিছুটা বিলম্ব হয়। এহেন অবস্থায় আপনার আদালতে সু-বিচার পাওয়ার জন্য আবেদন করিতে বাধ্য হই ।
অতএব, মহোদয় বিনীত নিবেদন উপরোক্ত অবস্থাধীন বিবেচনা করিয়া সুষ্ঠ শালিস মিমাংসার জন্য আপনার কাছে সবিনয় আর্জি করতঃ সমাধান কল্পে প্রয়োজনী ব্যবস্থা করতে আপনার যেন মর্জি হয়।
নিবেদক
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস